বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
আন্তর্জাতিকআলোচিত সংবাদ

ইতিহাস গড়ে ওড়িশায় প্রথম নারী এমএলএ সোফিয়া

৩২ বছর বয়সী নারী রাজনৈতিক সোফিয়া ফিরদৌস। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে ওড়িশার বারাবতী-কটক কেন্দ্রে প্রথম মুসলিম নারী বিধায়ক (এমএলএ) পদে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।

ইতিহাস গড়ে ভারতের এ আলোচিত অঞ্চলটিতে এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বিজেপির পূর্ণচন্দ্র মহাপাত্রকে ৮ হাজার এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি।

সোফিয়া ফিরদৌস কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মোহাম্মদ মকিমের মেয়ে। ২০২৪ সালের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হন, এবং নির্বাচনে জয় পেলেন।

সোফিয়া কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০২২ সালে ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএমবি) থেকে এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজমেন্টে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২৩ সালের কনফেডারেশন্স অব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (ক্রেডাই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের সভাপতি নির্বাচিত হন সোফিয়া। এই সংগঠনের নারী শাখার পূর্ব জোনের সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

এ ছাড়া ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (সিআইআই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের কো-চেয়ার ও আইএনডব্লিউইসি’র কোর মেম্বার ছিলেন সোফিয়া। তোর স্বামী বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ মিরাজ উল হক।

ওড়িশার প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নন্দিনী শতপথীও এই আসন থেকেই ১৯৭২ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জয়ের ব্যাপারে সোফিয়া ফিরদৌস বলেন, একজন নারী হিসেবে বুঝতে পারছি যে আমি একটি ইতিহাস তৈরি করেছি। বিধানসভায় নারীদের প্রতিনিধিত্ব চিত্তাকর্ষক নয়। ১৪৭ বিধায়কের মধ্যে এবার কেবল ১১ জন নারী সদস্য রয়েছেন। এ সংখ্যা বাড়তে হবে। নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত।

তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিল বিধানসভা টিকিট পেয়ে আমি প্রতিটি ওয়ার্ড, এলাকায় গিয়েছি। লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার বাবাকে তারা ভালোবাসেন। তার খ্যাতি আমাকে বেশ ভালো অবস্থান দিয়েছে। আমি খুব প্রফুল্ল ও হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে মিশেছি। লোকে আমাকে ‘হাসিখুশি এমএলএ’ উপাধি দিয়েছে। আমার নির্বাচনী ট্যাগ লাইন ছিল ‘কটকের মেয়ে, কটকের পুত্রবধূ’; এটি আমাদের ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। আমি আমার বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করিনি। এগুলোই আমাকে জয় পেতে সাহায্য করেছে।

নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে সোফিয়া বলেন, আমি আমার বাবার আমলে শুরু হওয়া প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করবো। কটককে একটি টেকসই শহর হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা দরকার, তা-ই করবো। কটককে একটি ফিলিগ্রি হাব করার উদ্যোগ নেব। আমরা যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করব। আমি ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের জন্য মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *