সংবাদ শিরোনাম

 

চলতি মৌসুমে ময়মনসিংহে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি ধানের দামও ভালো পেয়ে খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে আউশ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

ময়মনসিংহ সদরের গোপালনগর গ্রামের কৃষক তালেব উদ্দিন চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছিলেন। আবাদ করতে গিয়ে জমি চাষ, বীজ, শ্রমিক ও সার বাবদ খরচ হয়েছিল ১২ হাজার টাকা। জমি থেকে আউশ ধান কাটার পর ফলন হয়েছে ২৫ মণ। প্রতি মণ ধানের এখন বাজার দর এক হাজার থেকে বারো শ’ টাকার মতো। এই হিসাবে খরচ বাদে তিনি ধান থেকে মুনাফা পাবেন ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া ধানের খড় আলাদা বিক্রি করে আরও তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা আসবে।

তালেব উদ্দিন জানান, উন্নত জাতের আউশ ধান আবাদ করে তিনি ভাল ফলন পেয়েছেন। বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম হওয়ায় আগামী বছর আউশ ধানের আবাদ আরও বাড়িয়ে দেবেন জানান তিনি।

একই এলাকার কৃষক খুরশেদ জানান, অধিকাংশ কৃষকের এবার আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো পেয়ে কৃষকরা বেশ খুশি। আগামীতে আউশ ধানের আবাদ বাড়বে এমনটাই জানান তিনি।

কৃষক মনসুর আলী জানান, আগে আউশ ধান ফলন খুব একটা হতো না। কিন্তু বর্তমানে উন্নত জাতের আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। বিশেষ করে চলতি মৌসুমে উন্নত জাতের আউশ ব্রি ধান ৮৫ এবং বিনা ধান আবাদ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ির তথ্যমতে, চলতি আউশ ধান মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ২৪ হাজার ২৭০ হেক্টর জমির বিপরীতে জেলায় আবাদ হয়েছিল ১৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার বিষয়ে কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. মতিউজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এপ্রিল মাসের দিকে আউশ ধান রোপণ করার সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। এ জন্য কৃষকরা এই ধান সময়মতো লাগাতে না পারায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন যেমন হয়েছে, তেমনি ধানের ন্যায্য দাম পেয়েছে কৃষক।

আগামীতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন উপপরিচালক।


মতামত জানান :

 
 
 
কপিরাইট © ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম - সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | উন্নয়নে হোস্টপিও.কম