শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
আলোচিত সংবাদব্রেকিং নিউজশিক্ষা

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে

২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা বিকল্প উপায়ে নেওয়া হবে। নৈর্বচনিক বিষয়ে দেড় ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতি বেঞ্চে একজন করে পরীক্ষার্থী বসবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার হবে। এবার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাচাই করার সুযোগ বাড়ছে। আগে ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৭-৮টির উত্তর করতে হলেও এবার করতে হবে চারটি।

শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার যেহেতু নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে বড়জোড় ১০০ জন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।

যদি কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বচনিক বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত থাকে, তাহলে তাকে এই তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশে নম্বর থাকবে ৩৫ ও এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) থাকবে ১৫ নম্বরের। তবে প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকবে।

এছাড়াও আগে যেখানে ১০টি প্রশ্নের মধ্য থেকে আটটির উত্তর দিতে হতো, সেখানে চারটির উত্তর দিতে হবে। আর প্রতি বিষয়ে মোট নম্বর ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ৫০ নম্বরকে ১০০তে রূপান্তর করে পরীক্ষার ফল দেওয়া হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানান, এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। এইচএসসি ফরম পূরণের কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যে এ পরীক্ষার প্রস্তুত্তি শেষ হয়ে যাবে। এখনও এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার পুরো পরিস্থিতি অনূকূলে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, এবার যেহেতু নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে বড়জোড় ১০০ জন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *