মুক্তাগাছার মুজাটি-আধপাখিয়া রাস্তার বেহাল দশা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া থেকে আধপাখিয়া পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এ দেড় কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। মুজাটিসহ আশপাশের আধপাখিয়া, শ্রীপুর, গোপালপুর, ফুচকির বাজারসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। অনেক মানুষের জীবিকা নির্ভর করে এ রাস্তার ওপর। কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশায় উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগ কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষার বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাটি ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু গাড়ি চালক নয়, পথচারীদের জন্যও দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে এ রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। এমনকি রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যায় তাই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন জানান, আমরা রাস্তার সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। আমাদের রাস্তার করুন অবস্থা কিন্তু দেখার কেউ নেই।
এলাকার মাওলানা আনিসুর রহমান, চানু কেরানী, ওলিউল্লা মুন্সি জানান, দীর্ঘদিনেও রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়নি। তাই যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাই কঠিন। রাস্তার বেহাল দশার কারণে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চরম কষ্টে প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। রাস্তাটির সংস্কার হলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে।
স্থানীয়রা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হন। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুলে যেতে পারে না। মেরামতের অভাবে এখন চলাচলের অযোগ্য। মেরামত করে চলাচল যোগ্য করে তোলার প্রত্যাশা স্থানীয়দের এবং এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বরণ দেবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে।