বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা
আজ ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দলটি। কিন্তু অন্যবারের চেয়ে এবারের পরিবেশ ছিলো ভিন্ন। নানা বিধিনিষেধে মাত্র ৫০ জনের মত উপস্থিতি ছিলেন শ্রদ্ধা জানানোর সময়। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রবেশে বাঁধা ও বিধিনিষেধের কারণে নেতাকর্মীরা আসতে পারেনি।
কড়াকড়ির কারণে সীমিত সংখ্যক নেতাদের জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়। বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতা সকাল পৌনে ১১টার দিকে চন্দ্রিমা উদ্যানে পৌঁছান। পরে তারা সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শেষে মোনাজাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির শ্রদ্ধা জানানোর পর জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির নেতারা শ্রদ্ধা জানিয়ে বেরিয়ে আসার পর সেখান যান রিজভী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাবার্ষীকিত উপলক্ষে চন্দ্রিমা উদ্যান ও এর আসপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিত লক্ষ্য করা যায়। ইউনিফর্ম ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।
উল্লেখ, গত ১৭ আগস্ট ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিন মামলায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।