ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম-খুন-নির্যাতনের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের নানা অপকর্ম, গুম, খুন ও নির্মম নির্যাতনের তিন শতাধিক আলোকচিত্র নিয়ে ‘ফ্যাসিস্ট প্রদর্শনী’ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রতিবাদী গান, কবিতা আবৃত্তি ও বক্তব্যের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করা হয়।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পযর্ন্ত টানা দুই ঘণ্টাব্যাপী ময়মনসিংহ নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরের রামবাবু সড়কে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্যাসিস্ট পলায়নের দুই মাস উপলক্ষ্যে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানুষ হত্যাসহ পৈশাচিক চিত্রের মাধ্যমে এই প্রদর্শনী করা হয়। এতে শেখ হাসিনাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের ফ্যাসিস্ট দোসরদের ক্যাপশন সম্বলিত ছবি স্থান পায়।
প্রদর্শনীতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতারা অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, একেএম মাহাবুবুল আলম, বিএনপি নেতা শরাফ উদ্দিন কোহিনুর, হেলাল আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. নূরুল হক, জেলা যুবদল সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সাধারন সম্পাদক দিদারুল ইসলাম রাজু, কথাশিল্পী সালিম হাসান, কবি এহসান হাবীব, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি শহীদুল আমিন খসরু, সাধারন সম্পাদক সোহেল খান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আমিনুল ইসলাম ফয়সাল, সাধারন সম্পাদক জিএস মাহাবুব, উত্তর জেলা ছাত্রদল সভাপতি নেতা নিহাদ সালমান ডুনন, সাধারন সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, প্রভাষক সাঈদ ইসলাম, প্রকৌশলী জহিরুল হাসান, ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৌহিদুজ্জামান ছোটনসহ আরও অনেকে।
এদিকে ফ্যাসিস্ট প্রদর্শনীতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি ১০ দফা দাবি জানান আয়োজকরা। দাবিগুলো হলো- সাগর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, প্রশাসনে আওয়ামী দোসরদের অপসারণ, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার, যানজট নিরসন, ব্রহ্মপুত্র খননের নামে লুটপাট বন্ধ, বালুদস্যুদের গ্রেপ্তার, মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীদের কঠোর হস্থে দমন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা হোক।