রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
আলোচিত সংবাদব্রেকিং নিউজময়মনসিংহ

নতুন বাংলাদেশে তথ্য সরবরাহ অবাধ হোক

‘রাষ্ট্রের মূলধারায় তথ্য অধিকারের সংযুক্তি এবং সরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহে পালিয়ে হয়েছে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক) এর সহযোগিতায় তথ্য অধিকার সাধারণ মানুষের জন্য অধিকতর সহজ করতে আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজিম উদ্দীন, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাল্গুনী নন্দী, সিভিল সার্জন মোঃ নজরুল ইসলাম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর আঞ্চলিক সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমানসহ জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ।

ময়মনসিংহ জেলার সহকারী কমিশনার সৈয়দ শাহনেওয়াজ মোর্শেদ অপুর সঞ্চালনায় শুরতেই তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ক তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন সহকারী কমিশনার জয়া দত্ত। প্রেজেন্টেশনে সাধারণ জনগণ কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় তথ্য পেতে পারে, কি কি তথ্য পেতে পারে বা পারে না তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা করা হয়। চাইলে তথ্য জনগণ, দিতে বাধ্য প্রশাসন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা) অনুযায়ী তথ্য কমিশন তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। এরপর জেলা পর্যায়ের ওয়েব পোর্টাল পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন নিয়ে আরেকটি প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন টিআইবি প্রতিনিধি মোঃ হাবিবুর রহমান। তিনি ময়মনসিংহের ৯৬টি সরকারি দপ্তরের ০৭ ধরনের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে হালনাগাদকরণে তাগিদ প্রদান করেন।

আলোচনায় বিভিন্ন বক্তা বলেন, তথ্য পাওয়া সাধারণ মানুষের অধিকার। কোনো তথ্য পাওয়া মাত্রই শেয়ার না করে আমরা যেন যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্যটি শেয়ার করি। সঠিক তথ্য না পেলে জনমনে যেমন বিভ্রান্তি তৈরি হয়, তেমনি সমাজেও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তথ্য ও উপাত্ত এই দুটি জিনিসের মধ্যে কোনটি তথ্য, কোনটি শেয়ার করার যোগ্য, তা যেন যাচাই-বাছাই করা হয়। হলুদ সাংবাদিকতা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়।

সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তথ্য সরবরাহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং সুশাসন বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে তথ্য দাতা এবং তথ্য গ্রহীতা উভয়ের কিছু করণীয় রয়েছে। তথ্য দাতার মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। গোপনীয়তা দুর্নীতির প্রবণতা বাড়ায় তাই গোপনীয়তা পরিহার করতে হবে। আবার তথ্য গ্রহীতাও তথ্য নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুন বাংলাদেশে চাই তথ্যের অবাহ প্রবাহ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আজকের এই বাংলাদেশে তথ্য হোক সকলের জন্য উন্মুক্ত।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *