দেশে সারের কোনো সংকট নেই, ন্যায্যমূল্যে সার ও বীজ পাবে কৃষক : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দেশে সারের কোনো সংকট নেই। সিন্ডিকেটসহ যেকোনো প্রকার অসাধু উপায়ে কেউ যদি সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর তা নিশ্চিতে ময়মনসিংহের বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিও তিনি নির্দেশ প্রদান করেন। সার ও বীজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিতে যদি কোনো ডিলার জড়িত থাকে, তবে তার ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে। কৃষকরা অবশ্যই ন্যায্যমূল্যে সার ও বীজ পাবে।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভাশেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। আজ (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সশস্ত্র বাহিনী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের আওতাধীন সকল পুলিশ ইউনিট, র্যাব, বিজিবি, আনসার, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় আলোচনাকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। মাদক বর্তমান সমাজে একটি বড় সমস্যা। মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ কাম্য। দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। এরপরেও এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ধর্মীয় বিষয়কে সামনে এনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন এক্ষেত্রে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে সৃষ্ট গুজব প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সচেষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ জরুরী।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ শহরের যানজটের বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। নগরীর যানজট কমিয়ে আনতে ভবিষ্যতে প্রজেক্ট পাসের আগে নগরীর রাস্তাসমূহের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। ফ্লাইওভার নির্মাণ করা যায় কিনা, উপদেষ্টা সে ব্যাপারে আলোকপাত করেন।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কৃষকরা যেন সময়মতো সার, বীজ ঠিকভাবে পায়, সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসকে তা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পায়, ভোক্তা যেন সঠিকমূল্যে কৃষিপণ্য পায়, মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন ফায়দা না লুটতে পারে, তা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। স্টোরেজের ঘাটতি পূরণে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের জন্য ছোট ছোট স্টোরেজ নির্মাণের ব্যাপারে ব্যবস্থাগ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন। বিভিন্ন অঞ্চলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কৃষি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে এবং এ ব্যাপারে সরকারও সার্বিক সহযোগিতা করবে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ নিজ নিজ দপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবগত করেন। এ সময় তিনি সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সভায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারসহ ময়মনসিংহ অঞ্চলের সভা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।