গুম-খুনের পর এখনও বিএনপি নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি : তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা (আওয়ামী লীগ)। বিএনপি নেতাকর্মীরা ১৫ বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গুম, খুন ও নির্যাতনের পর এখনও বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি। বিএনপির নেতাকর্মীদের দিকেই তাকিয়ে আছে দেশের জনগণ।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কুমিল্লার ফানটাউনের কনফারেন্স হলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘৩১ দফা হচ্ছে বাংলাদেশ ও মানুষের জন্য আমরা কী করতে চাই তার তালিকা। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন অনেক সমস্যার কথা বলেছেন। আরও দুই বছর আগে আমরা এগুলো বলেছিলাম। তখন আমরা জানতাম না স্বৈরাচার কখন বিদায় নেবে। যখন অনেকে বিশ্বাস করতো না স্বৈরাচার বিদায় হবে, তখন আমরা এটি দিয়েছিলাম। এটির মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করা।’
এ সময় তিনি এক নেতার প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘কাউকে কিছু দিয়ে নয়, আদর্শ দিয়ে দলে রাখতে হবে। আদর্শ দিয়ে তাকে দলের কর্মী হিসেবে তৈরি করতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘অনেকেই বলে থাকেন লন্ডন আমেরিকার মতো যদি আমাদের দেশ হতো। জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। জবাবদিহি তৈরি করলে আর লন্ডন আমেরিকার উদাহরণ দিতে হবে না। যেখানে জনপ্রতিনিধিদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতি দেশের অধিকাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে। আপনাদের কথা সঠিক। কিন্তু এ আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের (বিএনপি নেতাকর্মীদের)। এটি ধরে রাখতে হলে আমাদের কথাবার্তা আচার-আচরণে তা থাকতে হবে। যেন তা আরেকজনকে আকৃষ্ট করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমার বাবা শহীদ হয়েছেন। আমার ভাই শহীদ হয়েছেন। আর আমার মায়ের কারাগার ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা আজ না বললাম। এমন গল্প দেশের বহু বিএনপি পরিবারের। অনেকে ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় স্বজনদের জানাজায় গিয়েছে। এরপরও বলি, শুধু নিজের কথা ভাবলে হবে না। দেশের ও জনগণের জন্যও ভাবতে হবে।’