হত্যাযজ্ঞে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তির আওতায় আনা হবে : সারজিস আলম
স্টাফ রিপোর্টার : সারজিস আলম বলেছেন, হত্যাযজ্ঞে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কালো শকুনদের যে খারাপ নজর, যে চক্রান্ত সেটা এখনো শেষ হয়নি, আপনারা সব দিক দিয়েই তা দেখতে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, আমরা যদি বেঁচে থাকি, আমাদের কোন শহিদ পরিবার, কোন আহত যোদ্ধার গায়ে আমরা একটা আঁচড় পর্যন্ত লাগতে দিব না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নগরীর এড. তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গত জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া ময়মনসিংহ বিভাগের শহীদ পরিবারের মধ্যে অনুদানের চেক বিতরণকালে এসব মন্তব্য করেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবদিক দিয়েই চেষ্টা করছে, আমরা যেন সফল না হই।
কোনভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই, আমরা যারা এখানে রয়েছি, কারও অস্তিত্বই খুনি হাসিনা রাখবে না। ৫ ই আগস্টের আগে এমন অনেক শহীদ পরিবার রয়েছে ঠিকমতো লাশ দাফন করতে দেয়া হয় নাই, চিকিৎসা করতে দেয়া হয়নি, বাড়িতে থাকতে দেয়া হয়নি, থানায় অযথা হয়রানি করা হয়েছে। আবার যদি খুনী হাসিনার দোসররা ফিরে আসে একই কাজ করা হবে। সেই জায়গা থেকে আমাদের সকলের দায়িত্ব যেই স্বপ্ন নিয়ে, যেই স্পিরিট নিয়ে অভ্যুত্থান হয়েছে সেটাকে রক্ষা করা।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা এই অভ্যুত্থানে রক্তাক্ত ঘটনার গুলোর সাথে, হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত ছিল, যাদের ক্লিয়ার ডকুমেন্টস রয়েছে, ভিডিও ফুটেজ বা ছবি রয়েছে, সে যেই পরিচয়েরই হোক না কেন তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা যদি মনে করি, যে সে ছাত্রলীগ, যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের নেতা, সে পুলিশের সদস্য ছিল, সে সরাসরি হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত আমার ছবি আছে, ভিডিও ডকুমেন্ট আছে, তারপরও কিছু করাটা রিস্কি তাহলে আমরা সরি, আমরা মনে করি আপনি আমাদের এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করেন না, তাহলে আপনি এই দায়িত্ব ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে পারেন।
এসময় অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া ৫৫ জনের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম, প্রধান নির্বাহী (সিইও) মীর মাহাবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, শহীদ শফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ তুবাউল জান্নাত লিমাতসহ শহীদ পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমূখ।