বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সহায়তা করবে জার্মানি
নিজস্ব প্রতিবেদক : জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, তার সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোস শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেইজে তাদের বৈঠক সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি ছয়টি কমিশনের দাখিল করা সংস্কার প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করছেন। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলে, রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক চেতনা বজায় রাখবে।
এ ছাড়া, দুই নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি।
কীভাবে তরুণরা দুর্নীতিপূর্ণ শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে যোগ দিয়েছিল তা জার্মান চ্যান্সেলরকে ব্যাখ্যা করেন প্রধান উপদেষ্টা। একজন ১২ বছর বয়সী ছাত্র অভ্যুত্থানে যোগদানের আগে তার মায়ের কাছে একটি চিঠি লিখে শহীদ হন, এই ঘটনা প্রধান উপদেষ্টা শলৎসকে জানান।
ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা দেখার জন্য একটি জার্মান ব্যবসায়ী দলকে ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জার্মান বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য শলৎসের সহায়তা কামনা করেন।
সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা জুরিখে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সুইজারল্যান্ডের জেনেভার রাষ্ট্রদূত মো. আরিফুর রহমান। আগামী ২৫ জানুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।