সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
রাজনীতিলীড নিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল : রিজভী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।

আজ (সোমবার) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’ কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন এতে।

রিজভী বলেন, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটা যে কত আনন্দের, উচ্ছ্বাসের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসতাম তখন কত বক্তৃতা, কত রাজনৈতিক বিতর্ক, আলোচনা আমরা মধুর ক্যান্টিন থেকে করেছি। সেই আনন্দের দিন যেন হারিয়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সাহস পেতাম না। মাঝেমধ্যে যদি যেতামও তখন গাড়ির জানালাটা নামিয়ে দিতাম যাতে কেউ না দেখে। শেখ হাসিনার আমলে ১৬ বছর এই ধরনের একটি চরম ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তারা পরিবেশকে চারিদিক থেকে বিপন্ন করেছিল।

ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীতে ছাত্র রাজনীতির যত ইতিহাস পড়েছি, যখন এক নায়কের শাসন চলছিল তখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কর্পোরেট স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তখনো আন্দোলন চলেছে। কিন্তু হাসিনা সে সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছিল।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ইতিপূর্বে যারা দেশের টাকা পাচার করেছে, অর্থনীতিকে একটি হুন্ডির চক্রের মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছিল তাদের যেন ফের উত্থান না ঘটে। গণতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একে অপরের প্রতি আলোচনা-সমালোচনার বিষয়টি থাকলেও, আমাদের মধ্যে একটা ন্যূনতম ঐক্য থাকতে হবে। এই ঐক্য যদি না থাকে তাহলে সেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটা অস্বাভাবিক হবে না। আপনারা জানেন, পাশের একটি দেশ ফ্যাসিবাদের সেইফ হোমে পরিণত হয়েছে। দিল্লি যেন ফ্যাসিবাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সুতরাং তারা (ফ্যাদিবাদিরা) বসে নেই। তারা নানাভাবে নানা কায়দায় তারা তাদের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই জিনিসগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *