বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
বুধবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজনীতিলীড নিউজ

১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পেয়েছেন আবদুস সালাম পিন্টু। তিনি এই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এ মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সকল আসামীকে খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ। আসামীদের আপিল অ্যালাউ করে (গ্রহণ করে) রুল যথাযথ ঘোষণা এবং ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে মোট ৪৯ আসামীকে খালাসের রায় দেয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স নাকচ করে এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করে গত ১ ডিসেম্বর এ রায় দেন হাইকোর্ট।

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই পর্যবেক্ষণের আলোকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ওই মামলায় খালাস পাওয়া আবদুস সালাম পিন্টুর জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-২’তে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে পুস্পমাল্য দিয়ে বরণ করেন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২’র জেল সুপার আল মামুন বলেন, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে নতুন কোনো মামলায় ওয়ারেন্টস নেই। তার জামিনের কাগজ পাওয়ার পর আজ বেলা ১১টায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন আবদুস সালাম পিন্টু। তখন থেকেই তিনি কারাগারে ছিলেন। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। তখন থেকে তিনি আজ পর্যন্ত টানা কারাগারে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *