মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
লীড নিউজশিক্ষা

কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা হতে পারে মানব কল্যাণের বড় হাতিয়ার : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আজ বলেছেন, সৃজনশীলতা এবং নৈতিকতার মিশেলে ব্যবহার করা গেলে কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা পরিণত হতে পারে মানব কল্যাণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ারে।

আজ সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস- ২০২৫’ বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) ও ইউনেস্কো ঢাকা’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এবারের ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস’ এর মূল প্রতিপাদ্য- ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা: যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ’।

তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবনী শক্তি ও নৈতিকতা -এই দুইটি মানবিক গুণের বিকাশ ছোটবেলা থেকে একটি শিশুর মধ্যে গড়ে তোলা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কখনোই প্রযুক্তির দাসে পরিণত হবে না। বরং মানব কল্যাণে কাজ করার জন্য তখন সে কৃত্তিম-বুদ্ধিমত্তাকে তার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।’

শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের পথ প্রদর্শকদের এ মানবিক গুণগুলো বিকশিত হওয়ার ওপর জোর দিয়ে ড. বিধান বলেন,’কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মানুষ আজকাল একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। শিশু বয়সেই সাক্ষরতার সঙ্গে তাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও চিন্তা প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করতে হবে।’

এসময়, তিনি মানবিক গুণাবলির সঙ্গে মাতৃভাষায় শিশুদের দক্ষতা বাড়াতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভাষা আমাদের চিন্তার বাহন। ভাষার মাধ্যমে যেহেতু নামাদের সকল চিন্তা ভাবনাকে আমরা প্রকাশ করি, চিন্তাকে উৎকর্ষত করতে হলে মাতৃভাষায় দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম।

ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষা ও পলিটেকনিক শিক্ষার ফলাফলের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শিক্ষার্থী ও দেশ উভয়ের জন্য অসাধারণ হবে। আর শিক্ষার সঙ্গে দক্ষতা বৃদ্ধির এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান বজায় থাকবে ’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মৌলিক, ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে গবেষণামূলক শিক্ষা প্রবর্তনের পাশাপাশি প্রাথমিক-মাধ্যমিক শিক্ষার শক্ত একটি ভিত্তি গড়ে তুলতে শিশুদের মাঝে গণিত ও বিজ্ঞানের চর্চার ওপর জোর দিতে আহ্বান জানান।

সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন এর সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউনেস্কো’র প্রতিনিধি এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের প্রধান সুজান ভাইজ।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান।

আলোচক হিসেবে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিবুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *