শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
শুক্রবার, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
ময়মনসিংহলীড নিউজ

সংঘর্ষের ৩ দিন পর খুলেছে আনন্দ মোহন কলেজ, শিক্ষার্থী কম

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে হলের সিট বরাদ্দের নবায়ন ইস্যুতে সংঘর্ষের ঘটনার তিন দিন পর প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক কার্যক্রম আবার চালু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে কলেজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তিনদিন বন্ধ থাকার পর কলেজ খুলেছে। যথাসময়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে দূরের অনেক শিক্ষার্থী ইচ্ছে করেই কলেজে আসেনি। প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হলেও আগামীকাল থেকে উপস্থিতি বাড়বে।’

এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে হলের সিট বরাদ্দের নবায়ন ইস্যুতে ঝামেলার সূত্রপাত হয়। পরে ময়মনসিংহের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্নয়ক আশিকুর রহমানসহ অন্যরা এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কলেজ প্রশাসন। বলা হয়, পরদিন (সোমবার) সকাল ৮টার মধ্যে ছেলেদের হল ছাড়তে হবে। তবে মেয়েরা হলে থাকতে পারবেন। কলেজে শৃঙ্খলা ফেরাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত গুটিকয়েক ছাত্র হল ছাড়লেও বেশিরভাগ হলে অবস্থান নেন। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত হল না ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশসহ তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। নতুন সিট নবায়নে বর্তমান বৈধ সিটধারীদের সিট স্ব স্ব অবস্থানে নিশ্চিত করতে হবে। সিট নবায়নের ফি কমাতে হবে।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে কলেজের আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও হল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কসহ অন্যান্য সদস্যরা হলে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিকেল ৪টায় হল ত্যাগ করতে রাজি হন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল ৫টার দিকে হলের সব শিক্ষার্থী বের হয়ে যান।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওইদিনের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান খন্দকার রেজাউর রহমানকে। সদস্যরা হলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রশিদুল আলম, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহীন কবির ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *