শনিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
শনিবার, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪
ময়মনসিংহলীড নিউজ

ময়মনসিংহে আগুনে পুড়লো কীটনাশক তৈরির কারখানা

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ নগরীতে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে কীটনাশক তৈরির একটি কারখানা।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটলেও দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট।

তবে আগুনের সূত্রপাত ও কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর বিসিক শিল্প নগরীর একটি কীটনাশক তৈরির কারখানার গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। স্থানীয়দের মধ্যে তৈরি হয় আতঙ্ক। পরে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় যুক্ত হয় আরও সাতটি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আশপাশে পানির সুব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে কারখানার পাশেই বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে দেখি কীটনাশক তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আমরা তা নেভানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ততক্ষণে আগুনের প্রচণ্ড ভয়াবহতা দেখতে পাই। করাখানার ভেতরে থাকা ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছিল। যাই হোক আগুন আশপাশে পুরোপুরি ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে।

বালাইনাশকের ময়মনসিংহের এরিয়া ম্যানেজার হারুন অর রশিদ বলেন, কীটনাশক তৈরির সব ধরনের দ্রব্য এ কারখানায় রাখা হতো। সেটি সারাক্ষণ তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকতো। ভেতরে প্রচুর মালামাল ছিল। শুধু একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো থাকতো সারাদিন। আর একজন গার্ড সেটি পাহারা দিতো। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে তা বুঝতে পারছি না।

কারখানার ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বলেন, কীটনাশক তৈরির কাঁচামাল সংরক্ষণ করে পাশের কারখানায় প্যাকেজিং করা হতো। এসব কাঁচামাল ব্যয়বহুল। তা বিভিন্ন দেশ থেকে সংরক্ষণ করা হতো। গুদাম ভর্তি মালামাল ছিল। কীটনাশক তৈরির ধার্য পদার্থে হঠাৎ আগুন লাগলে মুহূর্তেই তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানাটি পুরোপুরিভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাবে না।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পানি এবং ফোমের সাহায্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কীটনাশকের কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু কারখানাটি কেমিক্যালের নিজে নিজে উত্তপ্ত হয়ে আগুন লাগতে পারে। তবে সেটি তদন্তের পরই সঠিকভাবে বলা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *