দুর্গাপুরে বাদামের আশানুরুপ ফলন কৃষকের মুখে হাসি
সুমন রায়, দুর্গাপুর : যত দূর চোখ যায় শুধু বাদাম ক্ষেত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সবুজ ফসল। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কৃষকরা ঝুঁকছেন বাদাম চাষে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পুরো উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে। ফলন হয়েছে সন্তোষজনক। বালি মাটিতে ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় বাদাম চাষে উপযোগী হওয়ায় বাদাম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে কথা হয় গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর শংকর পুর গ্রামের কৃষক মো. নূর মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে বাদাম এর চাষাবাদ করে আসছেন। চার একর জমিতে লাখ টাকা খরচ করেছেন তাতে কয়েকগুণ লাভের আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে ধানের ফলন ভালো হয়না কিন্তু বাদামের ফলন ভালো হয়। আমারা ক্ষেতের বাদাম ১৫-২০ দিনের মধ্যে উত্তোলন করে বাজারজাত করবো। আশা করছি আগের থেকে অনেক বেশি লাভবান হবো।
একই গ্রামের আরেক বাদাম চাষি আব্দুল মান্নান। তিনিও ২০ বছর ধরে বাদাম চাষ করেছেন। তার দেড় একর জমিতে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জন্য খুশি তিনি। তবে সেচের সুযোগ সুবিধা পেলে আরও বেশি চাষাবাদ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিপা বিশ্বাস কালের প্রতিবেদককে বলেন, বাদাম লাভজনক আবাদ। অন্যান্য বারের চেয়েও এবার ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর বাদাম বিক্রি করে কৃষকরা তাদের খরচ মিটিয়েও প্রায় ৫০ লাখ টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছি। এ উপজেলায় দুইটি মৌসুমে বাদাম চাষ হয়। তবে বেশি অক্টোবরের শেষের দিকে বীজ বপন করা হয়। সে বীজ থেকে চার মাস পরে বাদাম তোলা হয়। তারপর সাথে সাথেই আবারও বীজ বপন করা হয়।