ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষ : উত্তরা ও তুরাগ নদ সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঝরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উত্তরা ও তুরাগ নদ সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।
এদিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত।
এ বিষয়ে র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম জানান, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র্যাব-৩ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
তাছাড়া উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার সকালে বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, তাবলিগ জামাতের সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের সংঘর্ষের ঘটনায় টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। বুধবার সকালে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।