রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
ময়মনসিংহলীড নিউজ

আ. লীগ উন্নয়নের গালগল্প শুনিয়ে লুটপাট করেছে: প্রিন্স

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ উন্নয়নের মিথ্যা গালগল্প শুনিয়ে লাখ, লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে।

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা তার বাবার নামে অপ্রয়োজনীয় টানেল করে নিজের জন্য কোটি কোটি টাকা অপচয় করে সাত তারকা অতিথিশালা নির্মাণ করেছিলেন। অথচ দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকের জন্য ঋণ মওকুফ করতে পারেন নাই, বিনামূল্য সার দেওয়ার অঙ্গীকার করেও দেন নাই। কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য দেন নাই। তার মতো মিথ্যাবাদী, প্রতারক ও নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট রাজনীতিবীদ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বিলডোরা চৌরাস্তা বাজারে এক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে বিলডোরা ইউনিয়ন কৃষকদলের উদ্যোগে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাস্যোজ্জ্বল আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ক্ষমতার দম্ভে হাসিনা এক সময় ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে মারতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর বিচার, আজ ড. ইউনূস এবং খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে হাস্যোজ্জ্বল আলাপচারিতা করেছেন। আর হাসিনা গণহত্যা করে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট পরিচয় ধারণ করে প্রভুর দেশে পলাতক। আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না।

সমাবেশে হালুয়াঘাট উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবু হাসনাত বদরুল কবির, আলমগীর আলম বিপ্লব, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, আবদুল হাই, মোনায়েম হোসেন খান খোকন, শহীদুল হক খান সুজন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আ. আজিজ খান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হোসনে আরা নীলু, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল গণি প্রমুখ।

সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স সাম্প্রতিক বন্যায় বিলডোরা ইউনিয়নে বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারেক রহমান সব দিকেই খেয়াল রাখেন। সুদূর লন্ডনে নির্বাসনে থেকেও বিলডোরা গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কষ্ট তারেক রহমানের দৃষ্টি এড়ায় নাই। এ কারণেই তিনি চারণ নেতায় পরিণত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপি কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারেক রহমান একজন কৃষকবান্ধব নেতা। সবসময়ই তিনি কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে কাজ করেন। জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে তিনি কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে করণীয় বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছেন।

এ সময় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে পুরানো কৃষি ঋণ মওকুফ, সুদমুক্ত নতুন কৃষি ঋণ প্রদান, বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, তেল দেওয়া, এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর পুনঃনির্মাণসহ কৃষি পুনর্বাসনের দাবি জানান।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *