ফারহীন টুম্পার পছন্দ ম্যাচিং সাজ-পোশাক
সংবাদ পাঠিকা ফারহীন টুম্পা বেশ কয়েকটি বেসরকারি চ্যানেলে কাজ করেছেন। বর্তমানে এটিএন নিউজে কর্মরত আছেন। নিজেকে ম্যাচিং সাজ-পোশাকে সাজাতে ভালোবাসেন এই সংবাদ পাঠিকা। চোখ আটকে যায় তার লুকে। ফারহীন রাইজিং বিডিকে জানিয়েছেন তার পছন্দ অপছন্দের গল্প।
একটা বিষয় বলে নেই— নিউজ পাঠিকাদের সবুজ শাড়ি পরতে দেখেছেন কখনো? বর্তমানে সবুজ শাড়িতে তাদের দেখা যায় না। এর কারণ হচ্ছে এডিটিংয়ের জন্য তারা সবুজ শাড়ি পরতে পারেন না। এতো গেলো টেকনিক্যাল ব্যাপার, সংবাদ পাঠিকারা খুব বেশি অলংকারও পরতে পারেন না এমনকি খুব বেশি সাজতেও পারেন না। তাদেরকে আড়ম্বর আর অনাড়ম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ সামঞ্জস্যপূর্ণ লুক দিতে হয়।
ফারহীন টুম্পা কথায় কথায় জানান—যেহেতু একজন সংবাদ পাঠিকা একইসঙ্গে সুখ এবং দুখের নিউজ পাঠ করেন। তাই এর যেকোন ঘরানার নিউজ পাঠ করার সময় যাতে তার সাজ পোশাক বাড়তি বা কমতি মনে না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখতে হয়। এবং প্রেজেন্টেবল থাকতে হয়।
ফারহীন টুম্পা শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে অন্যান্য অনুসঙ্গগুলো বেছে নেন। ব্যক্তিগতভাবে গলায় চেইন বা ছোট মালা পরতে ভালো লাগে তার। কানে সাধারণত টপ পড়েন। যেন খুব চোখে না পড়ে। শাড়ির সঙ্গে বেছে নেন কাছাকাছি রঙের ব্লাউজ। তার সাজ অনুসঙ্গের প্রয়োজনীয় জিনিস মনে করেন ঘড়িকে। পেশার প্রয়োজনে নিয়মিত ঘড়ি পরেন। কোথাও গেলে ঘড়ি সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন। পোশাকের মধ্যে সব থেকে বেশি সংগ্রহ করেন শাড়ি।
সংবাদ পাঠিকারা খুব সুন্দর করে শাড়ি পরেন কীভাবে? প্রশ্নের জবাবে ফারহীন টুম্পা বলেন, মেকআপ আর্টিস্টরা শাড়ি পরিয়ে দেন। তবে এটা সুন্দরভাবে ক্যারি করার জন্য প্রয়োজন হয় আত্মবিশ্বাসের। আমার মনে হয় যেকোন সাজ পোশাক, যাই পরিনা কেন, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি বোঝা গেলে কোন কিছুতেই ভালো লাগে না।
সংবাদ পাঠিকাদের চুলে বব কাট এবং লেয়ার কাট বেশি দেখা যায়। ফারহীন টুম্পা চুলে লেয়ার কাট দিয়েছেন। এই সংবাদ পাঠিকা বলেন, লেয়ার কাটে চুল ছোট করে কেটে কাটা হয়েছে। প্রতিবার নিউজ পড়ার আগে হেয়ার স্টাইলিস্টরা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুলগুলো সেট করে দেন। আমাদের চুল সব সময় পরিপাটি রাখতে হয়। কারণ টেলিভিশনে নিউজ পড়াটা এক রকম অভিনয়। স্ক্রিপ্টে যা থাকে সেটা সঠিক উচ্চারণ এবং সঠিক এক্সপ্রেশন দিয়ে দর্শককে বোঝাতে হয়। একটি দুর্ঘটনার নিউজ পড়ার সময় বা খুবই সেনসেটিভ নিউজ পড়ার সময় সাজটা যদি খুব ভারী হয় তাহলে কিন্তু মোটেও ভালো লাগবে না। এসব কিছু বিবেচনা করে আমাদের প্রফেশনাল দায়বদ্ধতা থেকেই এগুলো মেনে চলতে হয়।
বিভিন্ন উৎসবে একটু গর্জিয়াস সাজে সাজার সুযোগ তৈরি হয়। সেক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হয় সাজটা যাতে বাড়াবাড়ি পর্যায়ের মনে না হয়।
প্রত্যেক মানুষকে কম-বেশি সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সংবাদ পাঠিকারাও এর বাইরে নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অনেকখানি প্রভাবে ফেলে কর্মপরিবেশও। একজন সংবাদ পাঠিকাকে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনার সংবাদ পাঠ করতে হয়—তারপর মনের স্থিরতা খুঁজতে হয়।
ফারহীন টুম্পা বলেন, বড় বড় দুর্ঘটনাগুলো মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার ভালো নিউজগুলো ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ব্যক্তিগত জীবনের ভালো মন্দ থাকে। সব মিলিয়ে নিজেকে দিন শেষে প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করি। এজন্য নিয়মিত ইয়োগা করি। গান শুনি। নিজের কাজটা মনোযোগ দিযে করি। কাজ আমাকে প্রশান্তি দেয়।