এবারের বাজেট জীবনযাত্রা সহজ করবে : অর্থমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেট উত্থাপনের আগে তিনি বলেছেন, শুধু শুধু অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বাজেট বড় করে লাভ নাই। এজন্য আমরা বাজেটের আকার কমিয়ে এনেছি। এবারের বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম এই বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে। বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের তুলনায় বাজেটের আকার ৪.৬২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বাজেটে বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ব্যাংক থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাজেটের আকার ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছেন দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। যেখানে আড়াই লাখ কোটি টাকারও বেশি বাজেট ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণের বিকল্প খুঁজে পাননি তিনি। বরাবরের মতো ব্যর্থতার পরও এনবিআরের কাঁধেই চাপালেন বাজেটের ৬০ শতাংশের বেশি অর্থ যোগানের দায়িত্ব।
অতীতের রেকর্ড ভেঙ্গে বাজেটের প্রায় ৬৪ শতাংশ অর্থ পরিচালন ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবার। একরকম বাধ্য হয়েই আরও ১৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় করছেন ঋণের সুদ পরিশোধে। ফলে উন্নয়ন বরাদ্দে অর্থের বরাদ্দ নেমে এসেছে ৩০ শতাংশের আশেপাশে।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।