পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ
দীর্ঘ সময় করোনার মহামারির প্রাণঘাতী থাবায় জনজীবনে অনেকটা স্থবিরতা। সে প্রভাব পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। করোনার প্রকোপে প্রায় ১৮ মাস পর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পর্যায়ক্রমে চলবে শ্রেণীকক্ষে কার্যক্রম। ফলে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি চলছে খাগড়াছড়িতেও। শিক্ষার্থীরে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে চলছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ।
গেল বছরের ১৭ মার্চ দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় সরকারি নির্দেশেই সারাদেশের মত বন্ধ হয়ে যায় খাগড়াছড়ির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। করোনার প্রকোপ না কমায় একাধিকবার বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ।
সর্বশেষ করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সরকার আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারের এমন নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যে জেলার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে জোর প্রস্তুতি। ক্লাসরুম থেকে ক্যাম্পাস সবখানে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় ধুলো জমেছে প্রিয় ক্লাসরুমের বেঞ্চে। অনেক ক্যাম্পাস জুড়ে আগাছার আধিপত্য। ধূসর হয়েছে দেয়াল। প্রাণচাঞ্চল্য তৈরিতে কাজ করছে শিক্ষকরাও। তবে দীর্ঘ সময় পর প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্তে তারাও খুশি।
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল কামরুজ্জামান জানান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ফের মুখরিত হয়ে উঠবে ক্লাসরুম। পর্যায়ক্রমে চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা অনুসরণ করা হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা রাখার আহ্বান এই কর্মকর্তার।
খাগড়াছড়ি জেলায় ১৮টি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে ৭১টি, ৪২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কারিগরি, ইবতেদায়ি এবং মাদ্রাসা মিলে রয়েছে আরও ৩৫টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে ব্যস্ত নিজ নিজ বিদ্যালয়ে প্রাণ চাঞ্চল্য ফেরাতে।