টাঙ্গাইলের বাসাইল-কাঞ্চনপুর সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
জেলার বাসাইল-কাঞ্চনপুর সড়কের দক্ষিণ পাড়া এলাকায় ভেঙে গেছে। এতে করে নাটিয়াপাড়ার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে ব্যবহার হতো। সড়ক ও বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বাসাইল উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের। শনিবার সন্ধ্যায় বাসাইল উপজেলার বাসাইল-কাঞ্চনপুর আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ পাড়া এলাকায় পানির প্রবল চাপে ভেঙে যায়। এছাড়াও ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনের ফলে বিলপাড়া মসজিদ সংলগ্ন পাকা রাস্তার একাংশ ধসে পড়েছে।
জানা যায়, গত বছর বন্যায় এ সড়কের দক্ষিণ পাড়া এলাকায় একটি সেতু ভেঙে যায়। পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প দিয়ে মাটি ভরাট করা হয়। সড়কটি বাসাইল, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়নবাসীর আঞ্চলিক যোগাযোগের মাধ্যম। সড়কটি ব্যবহার করে বাসাইল উপজেলাবাসী মির্জাপুরের সঙ্গে অতি সহজে যোগাযোগ করতে পারায় অল্প দিনেই সড়কটি পরিচিতি পায়। সড়কটি ব্যবহার করে উপজেলার ঢাকাগামী যাত্রীরা অল্প সময়ে ঢাকা পৌঁছাতে পারে। তাই আঞ্চলিক সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ সড়ক ব্যবহারকারীরা।
জানা যায়, এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে বাসাইল উপজেলার আদাজান, কাঞ্চনপুর, বিলপাড়া, হাবলা, মির্জাপুর উপজেলার কুর্নী, ফতেপুর, পাটখাগুড়ী, মহেড়া, ভাতকুড়া, আদাবাড়ি এবং দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া, বর্নীসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাসাইল উপজেলার সাথে যোগাযোগ করে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষের বাসাইল উপজেলা সদরের সাথে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে সড়কটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হিসেবে ব্যবহার হতো। এ বাঁধ ভেঙে উপজেলার কাঞ্চনপুর, ছনকা পাড়াসহ অন্তত ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় একশত পরিবার।
এ সড়কের সিএনজি চালক আলিম মিয়া বলেন, এ সড়ক ব্যবহার করে আমরা গাড়ি চালাই। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন আমরা এ সড়কে গাড়ি চালাতে পারছি না। স্থানীয় মমিন মিয়া বলেন, সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ স্থানে দ্রুত একটি বেইলি সেতু স্থাপন করলে সড়কটি ব্যবহারকারীদের জন্য সুধিবা হবে।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত সড়কটি পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, বিলপাড়া মসজিদ সংলগ্ন ঝিনাই নদীতে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলা সত্ত্বেও রাস্তাটি ধসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুই-তিনদিনের মধ্যে কাজ করা হবে বলে আশস্ত করেছেন। বাসাইল দক্ষিণপাড়ায় ইতিমধ্যেই নতুন করে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে সিএনজি, মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য অচিরেই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।