কযুগেও নির্মিত হয়নি বিধ্বস্ত ব্রীজ, ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কবিরাজপাড়া – পুটলপাড়া রাস্তার মালিঝি নদীর উপর নির্মিত বিধ্বস্ত ব্রীজটি একযুগেও নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী ,মোল্লাপাড়া, কবিরাজপাড়া, পুটলপাড়া, পুরুষউত্তমখিলা, বেলতৈল, দরগাহপাড়া, খিলাগাঁও, দর্জিপাড়া, মন্ডলপাড়া, কামারপাড়া, সরকারপাড়া, মারুয়াপাড়া, পাইকুড়াসহ ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা জানান, এসব গ্রামের মানুষের যাতায়াতের স্বার্থে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনর্স্থাপনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওই বিধ্বস্ত ব্রীজের স্থানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বিধ্বস্ত ব্রীজটি আর নির্মাণ করা হয়নি। এদিকে কিছু দিন যেতে না যেতেই কাঠের সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। কাঠের সেতুটি ও আর মেরামত করা হয়নি। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে নড়বড়ে সেতুটি জোরাতালি দিয়ে কোনরকমে যাতায়াত চালু রাখা হলেও হালকা ২/৪ জন লোক চলাচল ছাড়া আর কিছুই পারাপার করা সম্ভব হয় না। এপথে প্রতিদিন শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এখানে ব্রীজটি পুনর্নিমাণের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব গ্রামের মানুষের। কৃষিপন্য ও গবাদি পশু পারাপারে কৃষকদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে ২০০৭ সালে এলজিইডি ব্রীজটি নির্মাণ করে। ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে ব্রীজের নির্মাণ কাজ করার ১৫ দিনের মধ্যেই ব্রীজটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। এতে এসব গ্রামের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলী আকবর বলেন,ও ই বিধ্বস্ত ব্রীজের স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বহুবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু একযুগের বেশি সময় ধরে ও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।