স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যোগ্য নেতৃত্বে করোনায় দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মহামারিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মহামারি মোকাবিলার পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধিগুলোর নিয়ন্ত্রণে ঘুরে দাঁড়িয়ে আবারও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্যামলী ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল ও এর বিস্তার রোধের অন্যতম হাতিয়ার হলো জনগোষ্ঠীর মধ্যে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ। সমগ্র বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দেওয়া করোনা মহামারি বাংলাদেশকেও সমানভাবে আঘাত করেছে। এর ফলে শুরুর দিকে ৫ স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমসমূহ কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির শুরুর দিকে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও পরবর্তী সময়ে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের মতো যক্ষ্মা বাংলাদেশেও অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যে সব দেশ যক্ষ্মা ও ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার ক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। কোভিড-১৯ মহামারি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিকে জটিলতর করে তুলেছে।
অন্যান্য দেশের তুলনায় যক্ষ্মা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলনামূলকভাবে ভালো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর পেছনে রয়েছে যোগ্য নেতৃত্ব, দেশব্যাপী বিস্তৃত যক্ষ্মার সেবা, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সর্বোপরি সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা। এছাড়াও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশেষ করে ইউএসএআইডি-এর কথাও অনস্বীকার্য।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে যক্ষ্মা চিকিৎসায় সাফল্যের ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা একটি অন্যতম কারণ। মাঠপর্যায়ে যক্ষ্মার উন্নত পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এই সাফল্য নিশ্চিত করা গেছে। যক্ষ্মার দ্রুত ও কার্যকরী পরীক্ষার ক্ষেত্রে জিনএক্সপার্ট মেশিন ক্রয় ও মাঠপর্যায়ে এর বিতরণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা, মাঠকর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মার সেবা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মান সর্বদা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র্যান্ডি আলি প্রমুখ।