সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার : ড. ইউনূস
অন্তর্ভুক্তিমূলক, বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনটাই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার নয়া দিল্লির আয়োজনে চলমান তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে এই বৈঠকে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ। ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বক্তব্যে বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা ও অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সব স্তরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পরিকল্পনার কথা জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ একটি “দ্বিতীয় বিপ্লব”—এর সাক্ষী হয়েছে। আমাদের বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে এবং জনসাধারণের সঙ্গে যোগদানের মাধ্যমে যা সম্ভব হয়েছে।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাই, আমাদের আর্থিক ব্যবস্থা সম্পদ আত্তীকরণের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেয়। এ ক্ষেত্রে সবার সম্পদ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আর্থিক ব্যবস্থাকে নতুন ঢেলে সাজাতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্পদের একমুখী প্রবাহ থাকা উচিত নয়। আমাদের অবশ্যই সকল মানুষের, বিশেষ করে নারী ও যুবকদের জন্য আর্থিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি যে, কীভাবে এটি সফলভাবে করা যায়। এই বিষয়ে বহু দেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
ভারতের নয়াদিল্লিতে তৃতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ফোনালাপে সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি হন প্রধান উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটাই অধ্যাপক ইউনূসের প্রথম বহুপক্ষীয় কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান। রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।