সাত দিনে হজের নিবন্ধন করলেন মাত্র ১৩০ জন
২০২৫ সালে হজে গমনেচ্ছুদের জন্য নিবন্ধন পোর্টাল চালু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। তবে শুরুতেই হজ নিবন্ধনের ভাটা পড়েছে। সাত দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ১৩০ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১২৩ জন বাকি সাতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ নিবন্ধন চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি দুই মাধ্যমেই এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময়ের পর আর সময় বাড়ানো হবে না।
প্রাথমিকভাবে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে এ নিবন্ধন করা যাবে। বাকি টাকা হজের অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে দিতে হবে।
গত বছর সৌদি সরকারের দেওয়া কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তখন ৪২ হাজার কোটা ফাঁকা ছিল। হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সির নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার হজের খরচ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কত টাকা কমাবে সেটি এখনও বলেন। এজন্য আগ্রহী হজযাত্রীদের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। যদিও শিগগিরই হজ প্যাকেজ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা।
গত কয়েক বছর ধরে সৌদি সরকার বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের কোটা দিয়ে থাকে। কিন্তু গত দুবছর হজে খরচ বেড়ে যাওয়ায় সৌদির দেওয়া কোটা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালন করেছেন ৮৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। এতে প্রায় ৪২ হাজার কোটাই ফাঁকা ছিল।
যেভাবে নিবন্ধন করা যাবে
ই-হজ সিস্টেম (www.hajj.gov.bd) ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপ থেকে সরকারি মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তিরা সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এবং ঢাকার আশকোনার হজ অফিস হতে প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করতে পারবেন। বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদেরকে অনুমোদিত এজেন্সি কর্তৃক প্রাথমিক নিবন্ধন করতে হবে। প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় প্রাক-নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে।