শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের সাজা বাতিল
শ্রম আইনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া সাজা বাতিল করেছেন আদালত।
বুধবার (০৭ আগস্ট) ঢাকার শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল তার করা আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২৫ দিনের কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে তিনি তাদের এক মাসের জন্য জামিন দেন।
সেই সাজা বাতিল চেয়ে গত ২৮ জানুয়ারি সকালে আপিল আবেদন করেন ইউনূসসহ চার আসামি। এ সময় তাদের পক্ষে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদনও করা হয়। ওইদিনই আসামিপক্ষের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ৩ মার্চ পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। এরপর কয়েক দফায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
আজ সেই আপিলের চূড়ান্ত শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তার সাজা বাতিল করে খালাসের রায় দেন।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
সেই মামলা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান ইউনূস। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ২০২৩ সালের ৮ মে ইউনূসের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর একই বছর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ওই বছর ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।