ময়মনসিংহে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী পুলিশ সদস্য আহত
ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষের দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন সুমাইয়া খাতুন নামে এক পুলিশ সদস্য।
তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে জেলার সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সুমাইয়া খাতুন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বাবার চর ভবানীপুর গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চর ভবানীপুর গ্রামে ২৩ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে আলী আকবর এবং আজিজুল হকের পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশে মীমাংসার কথা থাকলেও আজিজুল হক সালিশে না বসে উল্টো রাস্তায় গাছ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেন।
এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আজিজুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আকবরের পরিবারের ওপর হামলা করেন। এ সময় আলী আকবরের বোন সুমাইয়া খাতুন তার শিশুসন্তানকে নিয়ে বারান্দায় বসে ছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তার মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত পুলিশ সদস্য সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। জমি নিয়ে আজিজুলদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি সালিশে মীমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও আজিজুলরা যাননি। উল্টো তারা আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা গাছ দিয়ে বন্ধ করে দেন। রাস্তা বন্ধের কারণ জানতে চাইলেই অপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালান। আমার মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে।
আজিজুল হক বলেন, ক্রয়সূত্রে বিরোধপূর্ণ জমির মালিক আমি। দীর্ঘদিন ধরে তারা সেই জমি দাবি করে ঝামেলা তৈরি করে আসছেন। তারা আমাদের ওপর চড়াও হলে আমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করি।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।