মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মূল্যস্ফীতি এখনো আমাদের দেশে ৯ শতাংশের ঘরে রয়েছে।
আজ শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে স্বাগতিক বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। বিকেল তিনটায় রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশে রাখা সম্ভব হয়েছে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি তার মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত রয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান প্রমুখ, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
এর আগে গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। যদিও গত ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।