মাতৃদুগ্ধ দানে বিশ্বে শীর্ষে বাংলাদেশ
দেশের ৬৫ ভাগ শিশু প্রথম ৬ মাস পায় মায়ের দুধ। পাশপাশি প্রসূতি ও স্তন্যদায়ী মায়ের মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় মাতৃদুগ্ধ দানে পুরো বিশ্বেই শীর্ষে বাংলাদেশ। নবজাতকের প্রথম প্রতিষেধক মায়ের দুধ। সে কারণে জন্মের পর অন্তত ১৮০ দিন তা দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) সম্প্রতি এ–বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
৯১ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ তালিকায় প্রথম হয়েছে। ডব্লিউবিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ‘সবুজ জাতির’ মর্যাদা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পরেই ৯১ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। ডব্লিউবিটিআই ১০টি সূচক ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙের মর্যাদা দেয়।
গবেষকেরা বলছেন, শাল দুধ পেলে ৩১ ভাগ নবজাতকের মৃত্যু রোধ সম্ভব। পাশাপাশি মিল্কব্যাংক গড়া গেলে শতভাগ শিশুর জন্য নিশ্চিত হবে মায়ের দুধ। আর তা নিশ্চিত করা গেলে নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, নিশ্চিত হয় মা-শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। কমে মৃত্যুঝুঁকিও।
এক্ষেত্রে সাফল্যের পাশাপাশি প্রসূতি ও স্তন্যদায়ী মায়ের মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় মাতৃদুগ্ধ দানে পুরো বিশ্বেই এখন শীর্ষস্থানে আছে বাংলাদেশ।
তবে অনেক মা শারীরিক সমস্যাসহ নানা কারণে সন্তানকে দুধ দিতে পারেন না। সেই ক্ষেত্রে মিল্কব্যাংক তৈরিতে জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশ্বে প্রতিদিন অপর্যাপ্ত মাতৃদুগ্ধের কারণে খরচ হয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার। অন্যদিকে মাতৃদুগ্ধ পানে প্রতিবছর জীবন বাঁচে অন্তত ৭ লাখ শিশুর।