ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়ায় পানিবন্দি দেড় লাখ মানুষ
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এবং ধোবাউড়া উপজেলায় ৮০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে মাছের খামার, কয়েক হাজার একর জমির ফসল।
ধোবাউড়ায় নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। বড় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। হঠাৎ বাড়িঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে। হঠাৎ বন্যায় সাধারণ মানুষ রয়েছেন চরম বিপাকে।
ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির জানান, নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। সাধারণ মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনও সহায়তা পাওয়া যায়নি।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন জানান, ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম এখন বন্যাকবলিত। বাড়িঘরে পানি ওঠে যাওয়ায় স্কুলসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন মানুষ। পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ৮০ হাজার মানুষ ।
এদিকে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ আলী জানান, উপজেলার বারোটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম বন্যাকবলিত। বন্যায় ৭০ হাজার মানুষ পানিপন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা এখন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছেন। বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে প্রশাসনসহ স্থানীয় নেতারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানান, হঠাৎ ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাইড়া উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়ে সাধারণ মানুষ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। দুই উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারিভাবে ১০ মেট্রিক টন করে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শনিবারের (৫ অক্টোবর) মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। পরে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে সরকারি ত্রাণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।