ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন জমি-বাড়ি
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও স্থাপনা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। ভাঙনে গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভাঙন। এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ও কয়েকশ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
ভাঙন কবলিতরা জানান, প্রতি বছরই পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়। এবার যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে- তাতে বিস্তীর্ণ এলাকা নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এর আগে, বন্যায় গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর বালুরচর, গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর, নাপিতেরচর মরাবন, ডাকপাড়া, চরপুটিমারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর চর, চরগোয়ালিনী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের ফলে নদের গর্ভে বিলীন হয় বসতভিটা ও হাজার একর ফসলি জমি।
দক্ষিণ সিরাজাবাদ নতুনপাড়ার আব্দুস সালাম বলেন, ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। এর আগে, চার দফা বসতবাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এই ব্রহ্মপুত্র আর কতবার যে ঘরবাড়ি গিলে খাবে- তা কে জানে।
পলবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন ডিহিদার স্বাধীন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনরোধে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে ভাঙন রোধ করতে যে বরাদ্দ প্রয়োজন তা আমাদের নেই। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।