বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছিলেন : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরে বাংলাদেশ ছিল একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দরিদ্র দেশ।
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২১ উপলক্ষে ‘স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এতো বিপর্যয় ও দুরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কাক্সিক্ষত উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছিলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের বছর দেশে-বিদেশে কোন ফসল হয়নি। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ভংগুর যোগাযোগ অবকাঠামো। রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, ব্রিজ, রেল, সবই ভাঙা। কোন কারেন্সি নোট নেই, পোর্ট বন্ধ। জাসদ সৃষ্টি হলো। সিরাজ শিকদারের সর্বহারা পাটির দৌরাত্ম্য। তার উপর ‘৭৪ এর দুর্ভিক্ষ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখনই কোন বিষয়ে আইন বা নীতি প্রণয়ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তখন দেখা যায় বঙ্গবন্ধু ইতোমধ্যে সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ বা আইন প্রণয়ন করেছেন। আমাদের যুগের প্রয়োজনে সেটির শুধুমাত্র পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় ও জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ইমদাদুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. কামালউদ্দীন আহমদ।
ওয়েবিনারে ‘বঙ্গবন্ধু: বাঙালির সংস্কৃতি চেতনাবোধ ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) এর সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো প্রফেসর ড. এম. আফজাল হোসেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান।