বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা জিয়া : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড।’
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাতপোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মকের রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে।’
তিনি বলেন, ‘এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে জনগণ আজ এই পাকিস্তানের দালাল দলটি প্রত্যাখান করেছে। দলটি আজ ধূলিসাৎ হওয়ার পথে। বাঙালি জাতির ভাগ্যকে নির্বাসন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান এবং তাদের দোসররা।’
ডা. মুরাদ হাসান আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশে মহামারি মোকাবিলায় সরকারের জীবন ও জীবিকার সুষম নীতির কারণেই বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়টি সম্ভব হয়েছে। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। অর্থনীতি, মানবসম্পদ, অবকাঠামো, নিরাপত্তা, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। এক সময় যেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে সমালোচনা করা হয়েছিল, সেই দেশ আজ বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।’
সাতপোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ গফুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডা. মুরাদ হাসান এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।