প্রস্তুত শোলাকিয়া ঈদগাহ, ঈদের জামাত সকাল ৯টায়
দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ। সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৯টায় শুরু হবে এই ঈদ জামাত।
রেওয়াজ অনুযায়ী, ঈদের জামাত শুরুর আগে মুসল্লিদের সংকেত দিতে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। তিনটি জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে, দুইটি তিন মিনিট আগে এবং শেষটি জামাত শুরুর এক মিনিট আগে ছোঁড়া হয়।
এবার শোলাকিয়া ঈদগাহের ঈদুল আজহার নামাজ পড়ানোর নির্ধারিত ইমাম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ অসুস্থ থাকায় বিকল্প ইমাম হিসেবে ১৯৭তম ঈদুল আজহার জামাতে ইমামতি করবেন জেলা শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কিশোরগঞ্জবাসীসহ সারা দেশের মুসল্লিদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে শোলাকিয়ায় ঈদগাহে ঈদের নামাজে শরিক হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবার শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিন্দ্র করতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ড্রোন ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ সব মিলিয়ে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। পাশাপশি শোলাকিয়া ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে পুরো কিশোরগঞ্জ শহরজুড়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদগাহ মাঠে শুধুমাত্র জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে আসবেন। যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, দাহ্য পদার্থ, ছাতা, ব্যাগ বা অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ঈদগাহ মাঠে না আসার জন্য মুসল্লিদের বলা হয়েছে।
এদিকে শোলাকিয়া ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে ঈদের দিনে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বাংলানিউজকে জানান, নিরাপদে ঈদের নামাজ পড়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাবেন মুসল্লিরা। আর বৃহত্তম ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে শোলাকিয়া ময়দানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে নামাজের জন্য সবাই আসবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
স্থানীয়দের মতে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, এরপর ধীরে ধীরে সেই ‘সোয়া লাখিয়া’ পরিচিত হয়ে ওঠে শোলাকিয়া নামে।