দেশে পৌঁছালো চীনের উপহারের ১০ লাখ ডোজ টিকা
চীন থেকে উপহার পাওয়া সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ করোনার টিকা নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট দেশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে এই টিকা নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি চীনের তিয়ানজিন বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে বলে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন।
এর আগে আরও দুবার চীন সরকার বাংলাদেশকে করোনার টিকা উপহার দেয়। সে হিসাবে মোট ২১ লাখ ডোজ টিকা চীন থেকে উপহার হিসেবে পেলো বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, চীনের সঙ্গে সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের। এ টিকার ৭০ লাখ ডোজ এরইমধ্যে দিয়েছে চীন। সিনোফার্মের আরও ছয় কোটি ডোজ কেনার বিষয়ে সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে আজকের ১০ লাখ ডোজ আসার আগে চীন এ পর্যন্ত সিনোফার্মের এক কোটি ১৫ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে বাংলাদেশকে। এরমধ্যে চীন সরকার ১১ লাখ ডোজ বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। ৩৪ লাখ ডোজ আসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায়। আর বাকি ৭০ লাখ ডোজ টিকা এসেছে ক্রয়চুক্তির আওতায়। সর্বশেষ বুধবার (১১ আগস্ট) রাতে এমিরেটসের একটি কার্গো ফ্লাইটে ১৭ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
তার আগে গত ১০ আগস্ট রাতে আরও ১৭ লাখ ডোজ টিকা চীন থেকে দেশে আসে।
চীন সরকার গত ১২ মে সর্বপ্রথম উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে পাঠায়। এরপর ১৩ জুন চীন থেকে উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আসে।
গত ১২ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সিনোফার্মের টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে ক্রয়চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দেশে গত ২৯ এপ্রিল সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন রফতানি স্থগিত করলে এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এরপর ২৯ মে অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির সভায় সিনোফার্মের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ক্রয়চুক্তির আওতায় টিকার প্রথম চালান দেশে আসে। ওইদিন ১১ লাখ ডোজ টিকা আসে। এরপর ৩ জুলাই ভোরে আসে আরও ৯ লাখ ডোজ। পরে একে একে ১৭ জুলাই ১০ লাখ ডোজ, ১৮ জুলাই ১০ লাখ ডোজ, ২৯ জুলাই ৩০ লাখ ডোজ টিকা আসে। আর গত দুই দিন ১০ এবং ১১ আগস্ট দেশে আসে মোট ৩৪ লাখ ডোজ সিনোফার্ম।