দেশে করোনায় আরও ৫১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৬২
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১০৯ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৬২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ২০৩ জন। মৃত ৫১ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও ২৬ জন নারী।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৫৪৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩১ হাজার ১৬৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ১৪৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৩ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে আটজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে ছয়জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন এবং রংপুর বিভাগে একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন মারা যান।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৪১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৩২৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ২৯ হাজার ৫৬০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৬ হাজার ২৮৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।