রবিবার, জুন ১, ২০২৫
রবিবার, জুন ১, ২০২৫

দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ১৮ কোটি মানুষেরই পরিবেশ সচেতন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, শুধু রাস্তা, ফ্লাইওভার বা বিদ্যুৎই জীবনের মূল চাহিদা হতে পারে না।

যদি বাতাস ও পানি দূষিত হয়, তবে বিদ্যুৎ দিয়ে সবকিছু ঠিক রাখা সম্ভব নয়। ফুসফুসে ক্যানসার হয় এমন বাতাসে বিদ্যুৎ দিয়ে কী করবেন? বাতাস পরিশোধনের জন্য পর্যাপ্ত গাছ না থাকলে রাস্তা দিয়ে কী হবে?
রোববার (১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘পরিবেশ বিষয়ক সংস্কার ভাবনা: বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবেশ অন্তর্ভুক্ত করা, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে পরিবেশ ভাবনা সংযুক্ত করা এবং পরিবেশ শিক্ষা ও সচেতনতাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমরা পরিবেশ রক্ষা না করে উন্নয়ন করতে পারি না। পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই উন্নয়ন করতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রকল্প তৈরিতে সময় লাগে— সেখানে আউটসোর্সিং জরুরি।

বাজেট সংকট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারের অন্যতম সর্বনিম্ন বাজেট পাওয়া মন্ত্রণালয়। এ বাজেটে মনিটরিং, এনফোর্সমেন্ট, রিস্টোরেশন— সব সম্ভব নয়। প্রকৃতি ধ্বংস হলে পুনরুদ্ধারে বেশি বিনিয়োগ লাগে।

ইটভাটা বন্ধ, হাতি-মানব দ্বন্দ্ব মোকাবিলা, সিসিটিভি স্থাপনসহ নানা কার্যক্রমে বাজেট ঘাটতির কথা তুলে ধরে তিনি শূন্য পদ পূরণ ও জমি সংক্রান্ত আইন সংস্কারের ওপর জোর দেন।

তিনি আরও বলেন, রাতেও পাহারা ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং চালুর জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এনফোর্সমেন্টকে শক্তিশালী করতে হবে।

পরিবেশ ছাড়পত্র ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যার কোনো ছাড়পত্র নেই, সে কীভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে? বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিলে আমাদের লিগ্যাল টিম কিছুই করতে পারে না—এটা দুর্ভাগ্যজনক।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. খন্দকার রাশেদুল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, ওয়েস্ট কনসার্ন এর নির্বাহী পরিচালক আবু হাসনাত মো. মাকসুদ সিনহা, বাপা সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার ও বেলার ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর বারিস চৌধুরী।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবেশগত ছাড়পত্র) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *