বৃহস্পতিবার, জুন ৫, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, জুন ৫, ২০২৫

দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না ঈদে ঘরমুখো মানুষের

টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : ঈদের আনন্দ মনে থাকলেও ঘরে ফেরার যাত্রা যেন রূপ নিয়েছে দুর্ভোগের দুঃস্বপ্নে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর থেকে টানা যানজটে নাকাল ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক।

প্রায় ২১ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে চলা এই যানজট বিকেল পর্যন্তও স্বাভাবিক হয়নি। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি। ফলে ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি যেন চূড়ায় পৌঁছেছে।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খোলা ট্রাক ও পিকআপে যাত্রা করা মানুষজন। গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে শুরু করে পরিবার নিয়ে যাত্রা করা অসংখ্য মানুষ চরম কষ্ট নিয়ে বাড়ির পথ ধরেছেন।

বগুড়ার সালাউদ্দিন মিয়া ও সিরাজগঞ্জগামী যাত্রী মল্লিকা খাতুন জানিয়েছেন, তারা খুব সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। কিন্তু পরিবহণ সংকটের কারণে সময়মতো কোনো বাহন পাননি। কখন বাড়ি পৌঁছবেন তারা জানেন না।

একই দুর্ভোগ বগুড়ার আব্দুল হাইয়েরও। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বাস না পেয়ে পিকআপে উঠেছেন। তিনি বলেন, জানি না এই দুর্ভোগ কবে শেষ হবে। রাস্তায় যানজট, বৃষ্টি— সব মিলিয়ে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

যানজটের পাশাপাশি যান চলাচলের মাত্রা ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় বহুগুণ বেশি। বাস, ট্রাক, পিকআপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত যমুনা সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৫টি যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৫ হাজার ২৭০ টাকা টোল।

সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সেতুর ওপর চলাচল বিঘ্নিত হয়। এ কারণে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চারবার টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয়েছে। বর্তমানে সেতু দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক হলেও যানবাহনের চাপ এখনও প্রচুর।

মহাসড়কে নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে জোরালো তৎপরতা চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে ছয় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব সদস্যরাও।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *