বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫
বুধবার, এপ্রিল ২, ২০২৫

দুর্গাপুরে কৃষককে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা ও প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে কৃষক কামাল আকন্দকে (৫০) ডেকে এনে ব্যাপক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর ছোট ভাই মো. হক মিয়া (৪৭) বাদী হয়ে রবিবার সকালে অভিযোগ দায়ের করেন। কামাল আকান্দ উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়াকান্দা গ্রামে মৃত লতিফ আকন্দের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনা তদন্তে মাঠে কাজ করছে পুলিশ ও অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ডভূক্ত আজই (রবিবার) করা হবে জানান দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম।
অভিযুক্তরা হলেন- একই ইউনিয়নের শুকনাকুড়ি গ্রামের মৃত আছর আলী ফকিরের ছয় ছেলে আ. হামিদ ফকির (৬৫), আ. করিম ফকির (৬০), আ. কুদ্দুছ ফকির (৫৭), আ. রহমান ফকির (৫৪), আ. ছোবাহান ফকির (৫০), ছিদ্দিক ফকির (৪৭) এবং তাদের সন্তানাদি সহ ১৫ জন।
গত বহস্পতিবার বিকেলে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কে শুকনাকুড়ি পেট্রোল পাম্প ও নিরিবিলি হোটেলের সামনে কামাল আকন্দকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাপক মারধরের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে গত শনিবার দুুপুরে উপজেলার ঝাঞ্জাইল বাজারে ভূক্তভোগীর গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ বিভিন্ন শ্লোগান ও বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ভূক্তভোগীর ভাতিজা মাসুদ আকন্দ জানান, অভিযুক্তরা আমাদের জমি দখল করে রাখায় আমার চাচা মামলা করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার চাচা (কামাল আকন্দ) দুর্গাপুর থেকে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথের মধ্যে মঞ্জুল হক ফোন দিয়ে নিরিবিল হোটেলের সামনে আসতে বলে আমার চাচাকে। সেখানে আসলে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হোটেলের ভেতর থেকে মারতে মারতে বাহিরের নিয়ে আসে। প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাপক মরধরে চাচা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

কামাল আকন্দ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থপেডিক্স বিভাগে ভর্তি আছেন এবং তার কোমড় থেকে নিচের অংশ অবস হয়ে গেছে এবং অবস্থা সংকাপন্ন বলে জানান ভূক্তভোগীর ভাতিজা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *