তালেবানদের কবলে রশিদদের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন!
ধীরে ধীরে আফগানিস্তানে দখলের পরিধি বাড়িয়ে নিচ্ছে তালেবানরা। নগর পুড়লে দেবালয় যেমন এড়ায় না, তেমনি তালেবান আগ্রাসনের কবল থেকে রক্ষা মিলছে না ক্রিকেটেরও। আফগানিস্তানের ছয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তিনটিই চলে গেছে তাদের দখলে। ফলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি তো বটেই, রশিদ খান-মোহাম্মদ নবীদের বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই এখন সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
বিশ্বকাপ শুরুর আর দুই মাসও বাকি নেই। কোথায় জোর অনুশীলনে এখন নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কথা ছিল রশিদ খানদের, সেখানে বিশ্বকাপে তাদের অংশগ্রহণই এখন পড়ে গেছে শঙ্কায়।
আপাতত অনুশীলন বন্ধ আছে খেলোয়াড়দের। মূল তিন ক্রিকেটার রশিদ খান, মুজিব উর রাহমান, আর মোহাম্মদ নবী আছেন দেশের বাইরে। তবে বাকি সব ক্রিকেটারই দেশে। যাদের অনুশীলনের প্রধান ক্ষেত্রই হচ্ছে স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়ামই এখন হয়ে গেছে বেদখল।
আফগানিস্তানের কান্দাহার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খোস্ত সিটি স্টেডিয়াম এবং কুন্দুজ ক্রিকেট স্টেডিয়াম পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে তালেবানরা। মাজার-ই-শরিফে বালখ ক্রিকেট স্টেডিয়াম দখল করে নিতে আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে লড়ছে তালেবানরা। কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম আপাতত বন্ধ। এ ছাড়া জালালাবাদের গাজি আমানুল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এখনও আছে আফগান সরকারের হাতে। তবে শেষ দুই স্টেডিয়ামেও কবে নজর পড়ে তালেবানদের, তাও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে অনুশীলনও স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটার কাবুলের স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করেন। কিন্তু দেশে চলমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য সেই স্টেডিয়াম খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। আর ক্রিকেটাররাও তো নিজেদের জীবন বাঁচানোতে ব্যস্ত, ক্রিকেটের সময়য় কোথায়!
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারাও এ ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। কারণ, আপাতত গোটা আফগানিস্তান সরকারের প্রধান চিন্তায় তালেবান প্রেক্ষাপট। ক্রিকেট নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? গোটা দেশের ভাবনাচিন্তায় এখন শুধুই তালেবান। ক্রিকেট আপাতত পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে আফগানিস্তানে।
দেশকে বাঁচাতে ইতোমধ্যেই টুইট করেছেন রশিদ এবং নবী। বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রশিদ আবেদন করেছেন আফগানিস্তানের বিপদের সময়ে এগিয়ে আসার জন্য।
এদিকে আফগানিস্তান যদি বিশ্বকাপে যোগ দিতে না পারে তাহলে বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে আইসিসিও এখনো কিছু জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে থাকা কিংবা র্যাঙ্কিংয়ে নবম দেশটিকে সুযোগ দিতে পারে আইসিসি।