টাঙ্গাইলে পানিবন্দি ৩৬ হাজার মানুষ
বন্যার পানিতে টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলে ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোথাও অপরিবর্তিত, আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। কয়েকটি উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, হাট-বাজার ও ফসলি জমি।
সোমবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঝিনাই এবং ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রিজ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
ভুয়াপুর উপজেলার ফরমান, সাইফুলসহ কয়েকজন বলেন, আমরা যমুনা তীরের মানুষ। প্রতিবছরই নদীর সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হয়। এবারের বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, জেলায় ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা সামগ্রী হিসেবে চাল-ডাল, তেল-চিনি মসলাসহ সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের প্যাকেট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির পাত্র বিতরণ করা হয়েছে।