বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৩, ২০২৫

টাঙ্গাইলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলে যমুনাসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ভুঞাপুর, কালিহাতী ও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ভাঙনের পাশাপাশি তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। লোকালয়ে পানি ওঠায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ।

সেই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে সাপের আতঙ্ক রয়েছে। বিশেষ করে রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে বেশি আতঙ্ক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রাতে জেলার ভুঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসীর কষ্টাপাড়ার ঘোষপাড়ায় যমুনার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই এলাকার অর্ধশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া গোবিন্দাসী বাজারে পানি ওঠায় বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের খালটি ময়লায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি বাজারে ঢুকেছে। এদিকে গত বুধবার জেলার কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুরে পাকা সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

গোবিন্দাসী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সকালেই বাজারের একাংশে পানি ঢোকে। খালটি যদি দখলমুক্ত আর ময়লা আবর্জনায় ভরাট না থাকতো তাহলে পানি বাজারে উঠত না।

এদিকে কালিহাতির দুর্গাপুর ইউনিয়নে একটি সড়ক ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনদিন আগে পাকা সড়কটি ভেঙে ইউনিয়নের দুই শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকের দুর্ভোগ হচ্ছে।

ভুঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, গোবিন্দাসী বাজারের একাংশসহ কষ্টাপাড়ায় পানি উঠেছে। এছাড়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাটিতে পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হতে পারে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *