জুলহাস-তনয় হত্যাকাণ্ড : মেজর জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর কলাবাগানে জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যাকাণ্ডে করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
তবে মামলার অন্য দুই আসামি সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে আসামি মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেছিলেন। মামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আলোচিত এ মামলার আসামিরা হলেন- চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়া, আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। এদের মধ্যে চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু এবং লোকনাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারের কর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা করেন।
পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ১২ মে চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম।
দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার আলোচিত এই মামলার রায় দিলেন আদালত।