জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ঘোষণা যেকোনো সময় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ঘোষণা যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে আছে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন জামায়াত-শিবির আগেই নিষিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান এসে তাদের দল করার রাজনৈতিক অধিকার দিয়েছে। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো এবং সুশীল সমাজও জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের কথা বলে এসেছে। এটা জনগণেরও দাবি। গেল পরশুদিন ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে সবাই এ দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
আজকের মধ্যে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ হবে কি না; প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক কিছু হতে পারে, তবে এখনো আমি বলবো এটা প্রক্রিয়াধীন। সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ অনুচ্ছেদে এমন একটি সুযোগ রয়েছে। কাজ চলছে, যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত এলে আমরা ঘোষণা দেব।
গতকাল থেকেই জেনে আসছিলাম, বুধবারের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে, প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনারা যদি সবকিছু এখনই জানতে চান, আমি তাহলে জানাতে পারবো না। প্রক্রিয়া শেষ হলেই আমরা জানাতে পারবো।
জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে নতুন করে অশান্তি হবে কি না দেশে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবিরই তো এই অবস্থা তৈরি করে রেখেছে। এই অবস্থা তৈরি করার পেছনে তাদের যথেষ্ট যোগসাজশ রয়েছে। কোটা আন্দোলনের সবকিছু মেনে নেওয়ার পরেও আন্দোলন থামছে না, সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিলে ছাত্ররা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটাতো না। এই যে এত মানুষ হতাহত হয়েছে, সবই কী পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আমরাও প্রকাশ করবে, কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। সবই আমরা প্রকাশ করবো। এসব কিছু ছাত্ররা করেনি। ছাত্রদের পেছন থেকে জামায়াত-বিএনপি ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোও সম্পৃক্ত ছিল বলে আমরা জেনেছি।
মন্ত্রী তিনি বলেন, যে কারণে অনেকদিন ধরে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি ছিল, সেটার বাস্তাবয়নের প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতির অবনতির জন্য যারা রয়েছেন, তাদেরও আইনের সামনে আনার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। যারা এগুলো করছেন, জনগণকে সে সম্পর্কে জানাতে হবে।