চিলির বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয়ে কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনা
২০২২ বিশ্বকাপে একের পর এক মিস করে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। তবে বিশ্বকাপের পর নিজেকে ঠিকই ফিরিয়ে এনেছেন চেনা ছন্দে। চলতি বছর ইন্টার মিলানের হয়ে ইতালিয়ান সিরিআ জয় করেছেন। যেখানে লাউতারো হয়েছেন বর্ষসেরা স্ট্রাইকার। তবু কোপা আমেরিকায় চিলির বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রথম একাদশে জায়গা মেলেনি তার। প্রথমার্ধের হতাশা আর দ্বিতীয়ার্ধে চাপের মুখে থাকায় শেষ পর্যন্ত লাউতারো মার্টিনেজকেই মাঠে নামাতে বাধ্য হলেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। ৭৩ মিনিটে মাঠে নেমে ৮৮ মিনিটে করলেন দলের জয়সূচক গোল। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে জটলায় বল পেয়েছিলেন এই স্ট্রাইকার। সেখান থেকেই এলো জয়সূচক গোল।
কোপা আমেরিকায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার (২৬ জুন) সকালে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোপা আমেরিকার শেষ আটে পা রাখল আর্জেন্টিনা। গ্রুপে তারা আছে সবার ওপরে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে কানাডা আছে দুইয়ে। চিলি এবং পেরু দুই দলেরই ঝুলিতে আছে ১ পয়েন্ট।
ম্যাচের শুরু থেকেই একক আধিপত্য দেখালেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি মেসিরা। গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যেতে হয় বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে আক্রমণ আরও জোরালো করে আর্জেন্টিনা। তবুও জালের দেখা পাচ্ছিলেন না স্ক্যালিনোর শিষ্যরা। অবশেষে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে জালের দেখা পান মার্টিনেজ। তার ওই একমাত্র গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। একই সঙ্গে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই পরের রাউন্ডও নিশ্চিত হলো মেসিদের।
পুরো ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। তাদের অনটার্গেট শট ছিল ৯টি। এই ম্যাচে শরীরী ফুটবল খেলেছে দুই পক্ষই। মোট ২১ বার বেজেছে ফাউলের বাঁশি। এমনকি মেসিকে একবার চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছে মাঠের বাইরে। এরপর আবারও ফিরেছেন মেসি। হয়েছেন আক্রমণাত্মক।
এর আগে গ্রুপের অন্য ম্যাচে কানাডা ১-০ গোলে হারিয়েছে পেরুকে। ১০ জনের পেরুকে হারিয়ে শেষ ষোলোর আশা বাঁচিয়ে রেখেছে কানাডা। এই গ্রুপে ১ জয় এবং ১ হার নিয়ে দুইয়ে কানাডা। আর দুই ম্যাচেই জয় নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।
প্রথম ম্যাচে কানাডাকে হারিয়েছিল মেসিরা।