বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
অর্থনীতিআলোচিত সংবাদব্রেকিং নিউজলীড নিউজ

কৃষকরা চাহিদা মাফিক সার ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবে : কৃষি উপদেষ্টা

দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে, কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বন্যার্তদের পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে, কোনো সংকট হবে না। কৃষকরা চাহিদা মাফিক সার ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবে।

এ সময় কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর/সংস্থা প্রধানরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সার আমদানির প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে। ভবিষ্যতে সংকট হতে পারে এ শঙ্কায় অতিরিক্ত সার ক্রয় বা মজুদ না করার জন্য উপদেষ্টা আহ্বান জানান। কৃষি উপদেষ্টা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

গক ১৬ আগস্ট থেকে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জেলাগুলোর মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। ফসল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ৭ লাখ ১৪ হাজার ৫১৪ মেট্রিক টন, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। বন্যায় আক্রান্ত ২৩টি জেলার মোট আবাদকৃত ফসলের শতকরা ১৪.৫৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।

বন্যাকবলিত জেলাকে গুরুত্ব প্রদান করে ৬৪ জেলায় ১২টি ফসলে (গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, পেঁয়াজ, মুগ, মসুর, খেসারি, ফেলন ও অড়হড়) রবি মৌসুমে প্রণোদনা/পুনর্বাসনের জন্য ১৬৪.৭৯ কোটি টাকা অর্থছাড় করা হয়েছে, যাতে ১৬.৪১ লাখ কৃষক উপকৃত হবে।

আগামী ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী ও খাগড়াছড়ি জেলায় মোট ২ হাজার ৫০০টি কৃষক পরিবারের কাছে রোপা আমন ধানের চারা পৌঁছাবে, যা দিয়ে ২ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *