ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ৫১ জন নিহত
ইউক্রেনের পোলতাভা শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ৫১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আড়াই বছরের যুদ্ধে এটি এককভাবে সবচেয়ে মারাত্মক বোমা হামলার ঘটনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘দুঃখজনক হামলা’ বলে বর্ণনা করে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। কিয়েভ বলেছে, একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং একটি নিকটবর্তী হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। নিহত ব্যক্তিদের কতজন সামরিক বা বেসামরিক সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে পারেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘রাশিয়ান ঘৃন্য’ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করার জন্য কাজ করছে।
জেলেনস্কি সন্ধ্যার ভাষণে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রুশ বাহিনীর এই হামলায় ৫১ জন নিহত হয়েছে।’
জেলেনস্কি বলেন, ‘আহতের সংখ্যা ২৭১ জন। আমরা জানি যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক লোক আটকা পড়ে আছে। যতটা সম্ভব প্রাণ বাঁচানোর জন্য সবকিছু করা হচ্ছে।’
ওয়াশিংটন, বার্লিন এবং লন্ডন সবাই এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘ইউক্রেনীয়দের তাদের দেশকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সক্ষমতা প্রদানসহ’ ওয়াশিংটন কিয়েভকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি এই হামলাকে ‘মর্মান্তিক আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বর্বরতার ‘কোন সীমা নেই’।
মঙ্গোলিয়া সফর শেষ করার পর ক্রেমলিন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পুতিন রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক সফর করেছেন।
এই হামলা ইউক্রেনীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের জন্ম দেয় যখন অসমর্থিত প্রতিবেদনে বলা হয় রাশিয়া একটি বহিরাঙ্গন সামরিক অনুষ্ঠানকে টার্গেট করেছে।
অনেক কর্মকর্তাদের বেপরোয়া আচরণকে দায়ী করেছেন যারা রুশ হামলার হুমকি সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ‘সমস্ত পরিস্থিতিতে পূর্ণ এবং দ্রুত তদন্তের’ নির্দেশ দিয়েছেন।
দু’টি রুশ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হাসপাতাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আঘাত হানে। এতে একটি ভবন আংশিকভাবে ধ্বংস করে দেয়।
কিয়েভ থেকে প্রায় ৩শ’ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) পূর্বে প্রায় ৩ লক্ষ জনসংখ্যার যুদ্ধের পোলতাভাতে সকালে এই হামলা চালানো হয়।