বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
রাজনীতিলীড নিউজ

আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আজকের পর থেকে আমাকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না। তিনি বলেন, ‘একজন সহকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ রইলো, আপনাদের নেতা হিসেবে দয়া করে আমার নামের সঙ্গে আজকের পর থেকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক ব্যবহার করবেন না।’

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক’ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

কর্মশালায় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। এসময় তিনি ৩১ দফা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শাসন, বেকারত্ব দূর করাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি ৩১ দফা সম্পর্কে জানান, ভবিষ্যতে দেশ কীভাবে বিএনপি পরিচালনা করতে চায় তার দফা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স শিল্পের বাইরে নতুন কর্মমুখর সেক্টর তৈরি করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে অধিকাংশ মানুষ যেন বেশি যুক্ত হতে পারে সরকারিভাবে আমরা তা এনকারেজ করবো।’

সংস্কার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ ও জাতি নিয়ে যে চিন্তা, যখন দেশের এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেনি, তখন বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি দল, যারা দেশ পরিচালনা করেছে। হয়তো অনেক কিছু করতে পারিনি। হয়তো অনেক কিছু করেছি।’ এসময় তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের অবদান ও সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।

এসময় তারেক রহমান ৩১ দফাকে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। গ্রামপর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে উঠান বৈঠক করার আহ্বান জানান বিএনপির শীর্ষনেতা।

তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের একনেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি যদি না হয়, তাহলে যে সংস্কারই করি, কোনোটিই কাজে লাগবে না। রাজনৈতিক মুক্তি হচ্ছে জনগণের কাছে জবাবদিহি। যার যা ইচ্ছা করে যাবে, সেটা হবে না। সেটা সরকারি দল হোক, বিরোধী দল, এমপি হোক, মন্ত্রী হোক, জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে হলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ ভোটের মাধ্যমেই জবাবদিহি তৈরি হয়, বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে এক কোটির বেশি বেকার রয়েছেন। আমাদের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্সের বাইরে নতুন সেক্টর তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করার সুযোগ আছে। আমি চেষ্টা করি, অত দ্রুত পারবো না। অনেকাংশে সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবো। রাতারাতি সব হবে না। দেশ সবার, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একটু একটু এগিয়ে আসি। প্রত্যেকে যদি চেষ্টা করি ইনশাল্লাহ, ভালো কিছু করতে সক্ষম হবো।’

প্রশিক্ষণ সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বক্তব্য রাখেন। মতামত প্রদান করেন ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *